দাঁড়িয়ে থাকা পাথর বোঝাই ট্রাকের পিছনে চাল বোঝাই ট্রাকের ধাক্কা : দুর্ঘটনা জাতীয় সড়কে

15th February 2021 9:11 am বাঁকুড়া
দাঁড়িয়ে থাকা পাথর বোঝাই ট্রাকের পিছনে চাল বোঝাই ট্রাকের ধাক্কা : দুর্ঘটনা জাতীয় সড়কে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : সাতসকালেই ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির আহত আরও এক । মৃত গাড়ির চালকের নাম মোহাম্মদ আজমল হোসেন বয়স ৩৮ বছর এবং আহত খালাসির নাম আশিক ইকবাল বয়স ২৩  বছর ।  দুজনার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায় ।

বাঁকুড়া মেদিনীপুর জাতীয় সড়কের ওপর ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা ঘটে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানতে পারা যায় বিষ্ণুপুর যমুনা বাঁধ কলোনি এলাকায় জাতীয় সড়কের ওপর একটি চাল বোঝাই লরি বাঁকুড়া থেকে বিষ্ণুপুরের দিকে আসছিল ঠিক তখনই সামনে এক পাথর বোঝাই দাঁড়িয়ে থাকা লরির পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে চালবোঝাই লরিটি এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা ১১ হাজার  ইলেকট্রিক খুটিতেও গিয়ে ধাক্কা মারে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় চালকের গুরুতরভাবে আহত হন খালাসী । এরপর ঘটনার তীব্র আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এলাকাবাসী জানানো হয় বিষ্ণুপুর থানায় ।  স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বারংবার বিষ্ণুপুর থানার পুলিশকে জানানো হলেও ঘটনাস্থলে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ আসতে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা দেরি করে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতে পারলে হয়তো চালককে বাঁচানো সম্ভব হতো এমনই দাবি স্থানীয় এক বাসিন্দার । এরপর বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ও আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে এরপর আহত ওই খালাসের অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আহত ব্যক্তিকে রেফার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ।তবে স্থানীয়দের দাবি অত্যাধিক গতির কারণেই এই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।